Summary
কবি জসীমউদ্দীন রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' এর অংশ, 'রুপাই' কবিতায় গ্রামবাংলার প্রকৃতি এবং কৃষকের রূপ ও কর্মোদ্যোগের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
- গ্রামবাংলার প্রকৃতিতে কালো ভ্রমর, রঙিন ফুল, কাঁচা ধানের পাতা এবং মায়াবী কৃষককে দেখা যায়।
- কৃষকের বাহু লাউয়ের কচি ডগার মতো এবং তার শরীর রোদে পুড়ে কালো হয়।
- কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, কৃষকের শ্রমে সভ্যতার ইতিহাস লেখা হয়।
- জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কৃষকের কালো জড়িত এবং তিনি সকল কাজে পারদর্শী।
- কৃষক সবার কাছে মূল্যবান এবং তার শিল্পে দক্ষতা আছে।
কবি জসীমউদ্দীন রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' নামক কাহিনিকাব্যের এ অংশটুকু ‘রুপাই' কবিতা নামে সংকলিত হয়েছে। এ কবিতায় কবি গ্রামবাংলার প্রকৃতি, কৃষকের রূপ ও কর্মোদ্যোগ অসাধারণ ভাষায় প্রকাশ করেছেন। গ্রামবাংলার প্রকৃতির মধ্যে কালো ভ্রমর, রঙিন ফুল, কাঁচা ধানের পাতা এবং কচি মুখের মায়াবী কৃষককে প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়। কৃষকের বাহু লাউয়ের কচি ডগার মতো বলে মনে হয়। রোদে পুড়ে কৃষকের শরীরের রং কালো হয়ে যায়। এ কালো কালি দিয়েই পৃথিবীর সমস্ত কেতাব বা গ্ৰন্থ লেখা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কবির মতে, কৃষকের শ্রমেই সভ্যতার ইতিহাস সৃষ্টি হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কিছুই কৃষকের কালো। আর এ কালো কৃষকই পৃথিবীর সবকিছু জয় করেছে। কালোকৃষকটি আখড়াতে বা জারির গানে যেমন দক্ষ তেমনি সকল কাজে পারদর্শী। তাই কবির দৃষ্টিতে এ কৃষক সবার কাছে দামি বলে গণ্য হয়েছে।